
ড. ইউনূসের সাথে বিএনপির বৈঠক
সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ না থাকায় অসন্তুষ্ট বিএনপি
- আপলোড সময় : ১৭-০৪-২০২৫ ১০:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ১৭-০৪-২০২৫ ১০:২৮:৪৮ পূর্বাহ্ন


* ডিসেম্বরে নির্বাচন না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে : মির্জা ফখরুল
* আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
* যে যাই বলুক নির্বাচন কোনও অবস্থাতেই জুন থেকে পেছাবে না : আসিফ নজরুল
স্টাফ রিপোর্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত নির্বাচন ও করণীয় বিষয়ে মতামত এবং পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিএনপির পক্ষ থেকে বেশ বড়সড় একটি চিঠি দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দ্রুত করণীয় কিছু বিষয়ে মতামত ও পরামর্শ শীর্ষক এই চিঠিতে বিএনপি ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান এবং শাসকদের পলায়নের কথা উল্লেখ করেছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে চিঠিটি তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লিখিত মতামতে দলটি জানিয়েছে, আমরা আপনাকে (ড. ইউনূস) সমর্থন জানিয়েছি এবং আপনার ওপরই আস্থা রাখতে চাই। দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পিত হয়েছে-যত দ্রুত সম্ভব তা পালন করবেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া লিখিত পরামর্শে বলা হয়, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন, সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানে নব্বইয়ের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পথ ধরে প্রায় ১৬ বছরের স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের অবিরাম লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভূতপূর্ব ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। শাসকদের প্রধানসহ তার অসংখ্য সহযোগী পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছেন, অবশিষ্টরা হয় বন্দি হয়েছেন বা আত্মগোপন করেছেন।
এসব লড়াইয়ের প্রতিটি পর্যায়ে অসংখ্য আন্দোলনকামী মানুষ জীবন উৎসর্গ করেছেন। শুধু বিগত ১৬ বছরের লড়াইয়ে ১৭ শতাধিক বিরোধী নেতাকর্মী গুম হয়েছেন, হাজারের বেশি খুন হয়েছেন এবং ৬০ লাখেরও বেশি নেতাকর্মী আহত, পঙ্গু এবং গায়েবি মামলায় কারারুদ্ধ ও সীমাহীন হয়রানির শিকার হয়েছেন। একমাত্র ২০২৪ এর জুলাই-আগস্টের যুগান্তকারী গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বের সামনে থাকা ২ হাজারেরও বেশি তরুণও ছাত্র-ছাত্রী, শ্রমিক এবং নারী ও শিশুসহ নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মী জীবন উৎসর্গ করেছেন, আহত ও পঙ্গু হয়েছেন আরও কয়েক হাজার নারী পুরুষ-শিশু। ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এমন ধারাবাহিক লড়াই যে কোনো জাতির জন্য অসীম আত্মত্যাগ ও সাহসী লড়াইয়ের এক গৌরবজনক ইতিহাস। এতে আরও বলা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে গণতন্ত্র ও মানবিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিটি লড়াইয়ের নেতৃত্ব দানকারী গর্বিত সক্রীয় অংশীদার হিসেবে বিএনপি তার অবস্থান থেকে প্রতিটি লড়াইয়ের সুফল জনগণের জন্য কার্যকর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে এবং করছে। সে লক্ষ্যেই এবারও জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের সুফল জনগণের কল্যাণে এবং তাদের আকাক্সক্ষা পূরণে নিবেদিত করার টেকসই ক্ষেত্র প্রস্তুতের লক্ষ্যে দেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপরিচালনার ভার নিজ যোগ্যতায় দেশ-বিদেশে বরেণ্য, নিষ্ঠাবান, দল নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে আপনার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সমর্থন জানিয়েছি। দায়িত্ব পালনে আপনাকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছি।
বিএনপি জানায়, আপনার ও আপনার নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রায় দেড়যুগ ধরে গণতান্ত্রিক অধিকারহীন জনগণের স্বাভাবিক প্রত্যাশা ছিল যত দ্রুত সম্ভব ফ্যাসিবাদী দল, তাদের দলীয় সরকার ও তার দোসরদের আইনের আওতায় এনে তাদের গণবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার, দুর্নীতি-অনাচারের মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের বিচার ও পাচার অর্থ পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতে নিহত ও আহদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ, সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন এবং দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পতিত সরকারের সব অপচক্র ও সিন্ডিকেট ধ্বংস করার পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়া। যাতে তারা সম্মিলিতভাবে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি, উন্নত অর্থনীতি এবং জনগণের মানবিক অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারে। আমরা জানি যে, পতিত ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সংবিধান, আইন, বিধি, প্রতিষ্ঠান এমনকি দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের এমনভাবে কলুষিত করেছে যে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অনেক বিষয়েই পরিবর্তন ও সংস্কার সাধন অনিবার্য। এ ব্যাপারে আপনাদের সরকারের উদ্যোগের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়েছি-সহযোগিতা করেছি। বিএনপি মনে করে যে, জনগণের স্বার্থরক্ষা ও স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য গণতান্ত্রিক শাসনের বিকল্প নেই। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংস্কার একটি সদা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া।
বিগত ফ্যাসীবাদী পতিত সরকারের মতো ‘আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র’ যেমন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের অপকৌশল ছিল, এখনও কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর ‘আগে সংস্কার পরে গণতন্ত্র’ তেমনি ভ্রান্ত কূটতর্ক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার মাধ্যমেই সবার জন্য উন্নয়ন সম্ভব এবং এ উদ্দেশ্য পূরণের জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থা, আইন, নীতি, বিধানের সংস্কার অপরিহার্য। এর সবগুলো পরস্পরের পরিপূরক, কোনোটাই কোনোটার বিকল্প নয়, পরস্পর সাংঘর্ষিকও নয়।
এদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির ইতিহাসে প্রায় সবগুলো যুগান্তকারী সংস্কার বা ইতিবাচক পরিবর্তন বিএনপির হাত ধরেই এসেছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংসদীয় শাসনব্যবস্থা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি, স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন কমিশন গঠন, উপবৃত্তি চালুসহ নারী ও কারিগরি শিক্ষা, দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থান, মুক্তবাজার অর্থনীতি, কৃষি উন্নয়ন, চিকিৎসা সেবা, পল্লী বিদ্যুতায়ন, অপ্রচলিত পণ্য রফতানি, সমুদ্র মৎস্য শিকার থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল-নদী খনন, গ্রাম সরকার, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, সমবায়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশ এমন হাজারও দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা যায়।
যখন এ দেশের কোনো রাজনৈতিক দল সংস্কারের বিষয়ে কোনো কথা বলেনি তখনো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি, নির্বাচন কমিশন শাক্তিশালী করতে ২০১৬ সালের ১৮ নভেম্বর এবং ২০১৭ সালের ১০ মে বেগম খালেদা জিয়ার ভিশন-২০৩০, ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ দফা এবং আন্দোলনরত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা উল্লেখযোগ্য।
লিখিত পরামর্শে বিএনপি জানায়, আজ যারা সংস্কারের কথা বেশি বেশি বলে এবং বিএনপিকে সংস্কারের বিপক্ষের শক্তি বলে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা করছে-তাদের ভিশন-২০৩০ এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচিতে যেসব সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে ও যেসব পরিবর্তনের আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা হয়েছে তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ৩১ দফায় বিএনপি বলেছে এসব প্রস্তাবের চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তাব কেউ দিলে জনস্বার্থে তা সাদরে গ্রহণ করা হবে। অর্থাৎ সংস্কারের চলমান প্রক্রিয়া বিএনপির ঘোষণারই অংশ। বিএনপি মনে করে যে, সব পরিবর্তনই সংস্কার নয়। সংস্কারের উদ্দেশ্য ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরিবর্তন। এ ব্যাপারে বিএনপি সব প্রস্তাব নিয়েই যুক্তিগ্রাহ্য আলোচনা স্বাগত জানায়। কিন্তু দল বা গোষ্ঠীস্বার্থে এবং রাজনীতি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় ও অপ্রাসঙ্গিক করার অপচেষ্টায় অযথা সময়ক্ষেপণ করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার তথা রাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠার অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখার কৌশলকে বিএনপি সমর্থন করে না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে জনগণের সম্মতি নিয়ে ৩১ দফায় বর্ণিত এবং ঐকমত্যে গৃহীত সব সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিএনপি সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করে।
ড. ইউনূসকে বিএনপি জানায়, এর আগে ২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর এবং গত ১০ ফেব্রুয়ারি আমরা আপনাকে লিখিতভাবে আমাদের কিছু উদ্বেগের কথা এবং কিছু পরামর্শ জানিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যক্রমে সেসব বিষয় আপনাদের অবস্থান আমরা জানতে পারিনি বা এসব বিষয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। উল্লেখ্য যে, ফ্যাসিস্ট সরকারের দ্বারা বৈষম্যের শিকার ও পদোন্নতি বঞ্চিত প্রশাসন ক্যাডারের ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে সচিবসহ বিভিন্ন পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেয়া হলেও তাদের একজনকেও এখন পর্যন্ত পদায়ন না করে পতিত সরকারের অপশাসনের দোসর ও সুবিধাভোগীদের দিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করার ফলে সরকারের কার্যক্রম ও উন্নয়ন প্রয়াস ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্য ক্যাডারে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি ও পদায়ন নিশ্চিত করা যৌক্তিক বিধায় তা দ্রুত সম্পন্ন করা জরুরি বলে আমরা মনে করি।
বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, যে কোনো রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ও তার সরকারের বক্তব্য ও মতামতে সমন্বয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি এর কিছু ব্যতিক্রম আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। আমরা আপনাকে সমর্থন জানিয়েছি এবং আপনার ওপরই আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু আপনার সরকারের কিছু ব্যক্তি এবং আপনাকে সমর্থনকারী বলে দাবিদার কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের প্রকাশ্য ব্যক্তব্য ও অবস্থান জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আশা করি আপনি এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বিএনপি আরও জানায়, আমরা আগেও বলেছি এবং এখনো বলতে চাই যে, দেশের জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার যে মহান দায়িত্ব আপনার ওপর অর্পিত হয়েছে- যত দ্রুত সম্ভব আপনি তা পালন করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য যেসব আইন, বিধি, বিধান সংস্কারে এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহে যেসব পরিবর্তন জরুরি তা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব বলে আমরা মনে করি। এ ব্যাপারে এর আগে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রদত্ত আপনারই আশ্বাস অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এনআইডি প্রকল্প নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার এবং নির্বাচনী এলাকা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে আইনি জটিলতা দ্রুত নিরসনেরও প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে পতিত ফ্যাসিবাদী দল ও সেই দলীয় সরকারের সঙ্গে যারাই যুক্ত ছিল তাদের বিচার দ্রুত করে রাজনীতির ময়দানকে জঞ্জালমুক্ত করার, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ও সুচিকিৎসার দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া এবং দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের অধিকতর উদ্যোগ নেয়ার জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ১/১১’র অবৈধ সরকার এবং পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে দায়ের করা সব মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। লিখিত মতামত ও পরামর্শে বিএনপি জানায়, আমরা আপনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সব ইতিবাচক কর্মপ্রয়াস সমর্থন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছি। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট সব বিভ্রান্তি অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে। সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক দুপুর ২টার দিকে শেষ হয়।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তাকে আমাদের উদ্বেগের কারণ, কনসার্নগুলো জানিয়েছি। এবং প্রধান যে বিষয়টি ছিল সেটি হচ্ছে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ, যেটা আমরা বেশ কিছুদিন থেকে বলে আসছি সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। আমরা বলেছি যে বর্তমানে রাজনৈতিক যে পরিস্থিতি এবং দেশের যে অবস্থা তাতে আমরা বিশ্বাস করি এখানে একটি দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্যে সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। একই সঙ্গে চলমান যে সংস্কার কমিশনগুলো করা হয়েছে, উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে, আপনারা জানেন যে আমরা সেগুলোতে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করছি। গত কয়েকদিন আগে সে সংস্কারে আমাদের মতামত দিয়েছি এবং আগামীকাল সম্ভবত আমাদের সঙ্গে বৈঠক আছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্পষ্ট করে বলেছি যে বিষয়গুলোতে ঐকমত্য হবে সব দলের, সেগুলো নিয়ে আমরা একটি চার্টার করতে রাজি আছি। এরপরে সেটার ওপর ভিত্তি করে বাকি নির্বাচনের দিকে চলে যেতে পারি। বাকি সংস্কারে আমরা ঐকমত্য হবো, একমত হবো আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তারা সেগুলো বাস্তবায়িত করার ব্যবস্থা নেবেন। এটিই ছিল আমাদের মূল কথা। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তার সুনির্দিষ্ট ডেটলাইন আমাদের দেননি। তিনি বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে তিনি নির্বাচন শেষ করতে চান। এ কথা তিনি আজ আবার বলেছেন। বলেন মির্জা ফখরুল।
আপনারা সন্তুষ্ট কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই। আমরা পরিষ্কার করে বলেছি আমরা ডিসেম্বরের যে কাট আউট টাইম, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন যদি না হয় দেশে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি সেটা আরও খারাপের দিকে যাবে। সেটা তখন নিয়ন্ত্রণ করা বেশ কঠিন হবে। আপনাদের অবস্থান কী হবে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আবারও আপনাদের সামনে আসবো। দলের সঙ্গে, দলের অন্য মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা করে আবার আপনাদের সামনে আসবো। নির্বাচনের সময়সীমার ব্যাপারে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা ডিসেম্বরের কথাই বলা হয়েছে। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) এ কথা বলেননি যে ডিসেম্বরে হবে না। কিন্তু জুন পর্যন্ত নিয়েছেন। আমরা এ কথা পরিষ্কার করে বলেছি আওয়ার কাট আউট টাইম ইজ ডিসেম্বর। বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদ। অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
অপরদিকে, আগামী বছরের জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, ঝড়ঝাপটা, বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, তখন নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তাই আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন চায় দলটি। জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেছেন, জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, ঝড়ঝাপটা, বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে। তখন ইলেকশন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা চাচ্ছি, ওই আশঙ্কার আগেই রমজানের নির্বাচনটা হয়ে যাক। গতকাল বুধবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর গুলশানে মার্কিন ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিকের সঙ্গে বৈঠক করেন জামায়াতের আমির। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে জামায়াতের আমির সাংবাদিকদের বলেন, তারা জানতে চেয়েছে আমরা কখন নির্বাচনটা চাচ্ছি। আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দিতে চেয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কমিটমেন্ট ঠিক আছে কী না দেখতে চাই। তিনি আরও বলেন, জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বর্ষা, ঝড়ঝাপটা, বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে। তখন ইলেকশন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা চাচ্ছি, ওই আশঙ্কার আগেই রমজানের আগে নির্বাচনটা হয়ে যাক। বৈঠক প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, তাদের সাথে আমাদের খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে ইকোনমিক পলিসি ও ফরেন পলিসি কী হবে, সেটা জানতে চেয়েছে। রিজিয়নের বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছি। তারা মাইনরিটি, উইমেন রাইটস, লেবার রাইটস নিয়ে কথা বলেছে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, আমাদের দেশ একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছে। এই সময় আমেরিকার পক্ষ থেকে যে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করেছে, সেটা যেন তারা পুনর্বিবেচনা করে। আমরা আশা করি তারা এটুকু সহযোগিতা আমাদের করবেন। আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে বৈঠকে কথা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিচার নিয়েও কথা বলেছি। তবে সেটা ন্যায়বিচার সম্পর্কে।
এছাড়াও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, জনগণের তো একটা আকাক্সক্ষা আছে আমরা যেন বিচার করে যাই। হাজারের বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে, ৫০-৬০ হাজার মানুষ শারীরিকভাবে স্থায়ী ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, বিচারের দাবি তো গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাক্সক্ষা। কোনও বিচার না করে নির্বাচন করলে আমরা মানুষের কাছে, নিজের কাছে জবাব দেবো কীভাবে। সুতরাং, বিচার ও সংস্কারের কাজের কারণে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলা হয়। কিন্তু আমরা বলেছি যে, কোনোভাবেই জুনের বেশি যাবে না, যে যাই বলুক না কেন। প্রধান উপদেষ্টা জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- কোনও অবস্থাতেই নির্বাচন জুনের থেকে পেছাবে না। গতকাল বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আসিফ নজরুল বলেন, বিএনপি বলেছে- আমাদের যে সংস্কার ভাবনা, সেটা তাদের দলের অনেক পুরনো ভাবনা। ওনারা সংস্কারপন্থি দল, আমরা সম্মত হয়েছি। অবশ্যই বিএনপি সংস্কারপন্থি দল। আমাদের কথা হচ্ছে, আমাদের যে সংস্কার কমিশন, ঐকমত্য কমিশন আছে- তাদের প্রস্তাবনার বিষয়ে বিএনপি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা বলেছে যে, ২-৩ দিনের মধ্যে কমিশনের সঙ্গে তারা বৈঠকে বসবে। সংস্কারের সঙ্গে তারা ঐকমত্য পোষণ করে এবং জুলাই সনদের কাজ দ্রুত হয়ে যাবে-এটাও তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, একটা বিষয় নিয়ে দ্বিমত হতে পারে যে, ওনারা বলেছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে ভালো হয়। আমরা বলেছি যে, আমাদের কথাবার্তার মধ্যে কিছু অস্পষ্ট থাকলে, কোন উপদেষ্টার কথা কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি করে— আমরা বলেছি, যে যাই বলুক না কেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বারবার বলেছেন, সেটাই আমাদের অবস্থান। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন। গতকাল বুধবারের আলোচনায় আমরা কয়েকটা বিষয় স্পষ্ট করেছি। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে আমরা ইচ্ছা করে, দেরি করে মে বা জুন মাসে নির্বাচন করবো, সেটা না। ডিসেম্বর থেকে জুন অর্থ হচ্ছে- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, ক্ষমতা একটু ভোগ করার জন্য, কিংবা অকারণে আমরা এক মাস, দুই মাস ক্ষমতায় বেশি থাকলাম, বিষয়টা সেটা মোটেও না। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এখন ওনারা জানতে চেয়েছেন- সংস্কার যদি হয়েও যায় তাহলে দেরি করার কী আছে। আমরা বুঝিয়েছি যে, জুলাই সনদ প্রণয়ন হলেও প্রয়োজনীয় আইনগত নীতিগত ব্যবস্থা নিতে সময় লাগে। উদাহরণ হিসেবে আমরা বলেছি যে, ডিজিটাল সুরক্ষা আইন ২৩ বার ড্রাফট করা হয়েছে, মতামত নেয়ার জন্য। জুলাই সনদ কয় দিনে হয়ে যাবে, সেটা তো আমরা সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না।
সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা জুলাইয়ে : ইসি
স্টাফ রিপোর্টার
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী জুলাই মাসে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে যেসব তরুণের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে বিদ্যমান আইন দিয়ে হবে না। এজন্য আইন পর্যালোচনা করে সংশোধন করা হবে। এমন উদ্যোগ প্রথমবারের মতো নেয়া হচ্ছে।
দেশের বিদ্যমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন সম্ভব কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বেশকিছু জেলায় ভিজিট করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, তারা আরও ইম্প্রুভ করবেন। আইনশৃঙ্খলা প্রতিদিন উন্নত হচ্ছে। আপনারা দেখে থাকবেন, আগের তুলনায় বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও পরিশুদ্ধ ভোটার তালিকা অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ ঘরে ঘরে গিয়ে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করেছে, আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের টার্গেট ছিল ৬১ লাখ ৮৮ হাজার নতুন ভোটার নিবন্ধিত হবে। দেখা যাচ্ছে, ৪৩ লাখের ওপরে বাদ পড়া ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে, নতুন হয়েছে ১৯ লাখ ৬৬ হাজার। মোট ৬৩ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হয়েছে। আমরা আশা করি জুনের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকাটি পেয়ে যাব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তফসিল ঘোষণার আগে অনেকের বয়স ১৮ হবে। তারাও ভোট দিতে চায়, এবার এই তরুণরা নতুন ভোটার হবে। নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে তাদের যেন আমরা ভোটার তালিকায় যুক্ত করতে পারি এবং তারা যেন ভোট দিতে পারে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ